মা ও ছেলের গল্প ntun rupkotha 3.0

মা_ও_ছেলের_গল্প_natun_rupkothar_golpo_3.0

 মা ও ছেলের গল্প


 এক নতুন রুপ কথার গল্প

 অত্যন্ত বন্ধুর পথ পেরিয়ে যাচ্ছে শাক্য । তাকে সেই পবিত্র কুয়োর জল আনতেই হবে ।

এগিয়ে চলল, অনেক কষ্টে ডাইনি বুড়িকে রাজি করিয়ে সে পবিত্র কুয়োর ঠিকানা জেনেছে ।

জেনেছে কিভাবে তা সংগ্রহ করতে হবে । চলতে চলতে ভাবছে,তার একটা ঘোড়া থাকলে

ভালো হত ।এই পথ কত সহজেই পেরিয়ে যেত ।ছোট বেলায় সে একবার ঘোড়ায় চড়েছে ।

তার বাবা যুদ্ধে যাওয়ার সময় রাজার কাছ থেকে একটা ঘোড়া পেয়েছিল। তারপর

কি হল কে জানে বাবা আর ঘোড়াটা কোন দিনই নিয়ে আসেনি।হয়ত রাজা ফেরত

নিয়ে নিয়েছে ।সে শুনেছে  জঙ্গলে নাকি ঘোড়া থাকে । রাজারাজরা নাকি জঙ্গল থেকে

ঘোড়া ধরে নিয়ে যায় ।এই জঙ্গল থেকে ফেরার পথে যদি সে একটা ঘোড়ার বাচ্চা পায় ।

ঠিক ধরে নিয়ে যাবেই।এমন ভাবতে ভাবতে সে দেখতে পেল আকাশ থেকে কিছু একটা উড়ে

এসে বসল পাশের মাঠে। তার ডানার দমকা হাওয়ায় গাছপালা গুলো দুলে উঠল।

মা ও ছেলের গল্প ntun rupkotha 3.0

যেখানে বেশ বড় বড় ঘাস ফুটে আছে।সে দিকে তাকাতেই দেখতে পেল ঘোড়ার মত একটা

পশু একটা নয় ,আরও অনেক গুলো আছে।আরে কি দেখছে সে তাদের ডানাও আছে ।

তাহলে কি এরাই সেই পক্ষিরাজ ঘোড়া । এত দিন যে প্রানি গুলোর কথা শুধু লোকের  

মুখেই শুনে এসেছে ।বাস্তবেও তাদের অস্তিত্ব আছে। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছে না শাক্য।

একটাকে যদি সে পোষ মানাতে পারত তাহলে শিমুকে নিয়ে দূর দূরান্ত উড়ে বেড়াতে

পারত নিজের ইচ্ছে মত।কি ভালই না লাগত। আর শিমু তাকে ভাল না বেসে পারত না।

কথা বলা গাছ দেখাবে বলে শিমুকে নিয়ে গিয়েছিল সেই নাজানি গাছের তলায়। কেন

কে জানে মা তার সাথে কথা বলেনি ।হ্যাঁ সেই নাজানি গাছটাকে শাক্য  মা বলেই  

ডেকেছে পরদিন। কারণ গাছটা নিজেই তাকে মা বলে ডাকতে বলেছে। "তোর মা হারিয়েছে তো

কি হয়েছে আমাকেই মা বলে ডাকবি।"তারপর থেকে শাক্য গাছটাকে মা বলে ডাকে ।

কিন্তু শিমুর সাথে কেন কথা বলল না মা কে জানে। শিমুর মনে হয়েছে  

শাক্য তাকে মিথ্যে বলেছে গাছ আবার কথা বলতে পারে। এখন আর বিশ্বাসই করে না

শাক্যকে। সামনে একটা দুধ সাদা ঘোড়া এসে দাঁড়াল । চমকে উঠল শাক্য তার হ্রেষা শুনে ।

বুঝতেই পারেনি এতক্ষণ আনমনা হয়ে গেছিল সে। ঘোড়াটা কর্কশ গলায় বলে উঠল,"এই

কোথায় যাবি এটা আমাদের দেশ। এখানে কোন মানুষের আসার অনুমতি নেই।"

আরে বাহ ! অবাক হয়ে গেল এতো মানুষের ভাষায় কথা বলছে। শাক্য একটু সন্ত্রস্ত

গালায় থেমে থেমে বলল, "আমি ঐ পাহাড়ের চূড়ায়  যাব ।"

" পাহাড়ের চুড়ায় কেন? ওখানেতো কোন মানুষ থাকে না।তুই যাবি কেন? জানিস না

ওখানে যত সব ভয়ঙ্কর সব রাক্ষস খোক্ষসদের বাস।তোর প্রানের মায়া নেই এতটুকু।"

 ক্রমশ পড়তে থাকুন...

Previous
Next Post »

এই ব্লগটি সন্ধান করুন