বাংলা রোমান্টিক প্রেমের গল্প মেহেরান গঢ়ের রুপকথা। বাংলা প্রেমের গল্প কাহিনী

 

বাংলা_রোমান্টিক_প্রেমের_গল্প_মেহেরান_গঢ়ের_রুপকথা।বাংলা_প্রেমের_গল্প_কাহিনী


বাংলা রোমান্টিক প্রেমের গল্প মেহেরান গঢ়ের রুপকথা। বাংলা প্রেমের গল্প কাহিনী 

মেহেরান গঢ়ের রুপকথা

যদিও তার ভালোনাম একটা আছে কিন্তু ফেসবুকে পারিজাত নামেই তার
একাউণ্ট খোলা। এমনিতেও সবাই তাকে পারিজাত বলেই ডেকে থাকে।
গল্পবাজ পারিজাত ।গল্প বানাতে ওস্তাদ। মানে, যেকোন বিষয়ে গল্প বানিয়ে  
শুনিয়ে দিলে সবাই সত্যি সত্যি ভেবে নেয়।আবার কখনও কখনও গাঁজাখুড়ি
গল্প বানিয়ে ছেলে ছোকরাদের কাছে শুনালে বিশ্বাস না করলেও মজা পায়
দারুণ। ফেসবুকে এমনই ছোট ছোট গল্প গুলি তার বেশ ভাইরাল হয়। 

আর ঘুরতে থাকে হয়াটসএপ ইন্সটাগ্রাম বিভিন্ন সোশ্যাল সাইডে।
এই কম বয়েসি ব্যাচেলর ছেলেদের থেকে একটু সে ম্যাচিওর।যদিও তাদের
সাথেই থাকতে হয়।তারাও একপ্রকার বন্ধু হয়ে গেছে। বয়স দেখে কি
আর বন্ধুত্ব হয়!

বাংলা রোমানটিক প্রেমের গল্প মেহেরান গঢ়ের রুপকথা। বাংলা প্রেমের গল্প কাহিনী 

আজকাল কাজের ফাঁকে যতটুকু সময় পায় গল্প নিয়েই মেতে থাকে
পারিজাত। বন্ধুদের শুনাতেও কম করে না।এমন ভাবে গল্প গুলো
শুনায় যেন তার জীবনের কোন এক সময়ের ঘটে যাওয়া ঘটনা।
সকলে বিশ্বাসও করে নেয় শেষ হলেই বলে আরে গল্পটা কেমন
লাগল ।অনেক দিন মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিল আজ ঝেড়ে দিলাম।

এমনিতে পারিজাত একটু চুপচাপ স্বভাবের। যখন বলতে শুরু
করে শেষ করেই ছাড়ে ।আর আশ্চর্য ভাবে সকলে মনোযোগ
সহকারে শুনেও।না,কোন রহস্য নয় আসলে তারা যে বিষয়ে
আলোচনা বা তর্ক-বিতর্ক করে পারিজাত ঠিক সেই বিষয়েই গল্প
ফাঁদে।ফলত তাদের গল্প শুনার আগ্রহও বেড়ে যায়।

বাংলা রোমানটিক প্রেমের গল্প মেহেরান গঢ়ের রুপকথা। বাংলা প্রেমের গল্প কাহিনী 

এইতো একটু
আগেই কুকুর নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল ।যোধপুরে আজকাল কুকুরের
বাড়বাড়ন্ত হয়েছে দিব্বি।একটু রাতের দিক হলেই একা একা যাওয়া
চলে না।কখন যে কাকে ধরে। একেবারে চার-পাঁচটা একসাথে।এই
কামড়ায়তো সেই কামড়ায়।এমন অনেক বার হয়েছে এটা শুধু
পারিজাতের একারই অভিজ্ঞতা নয়, অনেকেরই।

বিশেষ করে কাগজ
কুড়ানি বা ভিখারি,পাগল দেখলেই হল, অমনি কোথা থেকে চার-
পাঁচটা কুকুর একেবারে ঘেউ ঘেউ করে ঘিরে ধরে।কোন পরিচিত
মানুষ যদি হেই হেই করে ছুটে আসে তাহলেই রক্ষে। এই সব নিয়েই এতক্ষণ
আলোচনা করছিল পিন্টু, রিকু,দিপক, তরুণরা।পারিজাত এতক্ষণ চুপ-চাপ  
ছিল ।এবার বলে উঠল, "আরে জানিস সেদিন বিকেলে কি হয়েছিল।"কারও কিছু  
পতুত্তর না শুনেই বলতে শুরু করল। "আমদের মহল্লার এই আয়ুশ
আছে না।আরে তোতলা ছেলেটা।"  সকলে বলল 'হ্যাঁ হ্যাঁ।'  
"কাল ধরেছিল কুকুরে। 

বাংলা রোমানটিক প্রেমের গল্প মেহেরান গঢ়ের রুপকথা। বাংলা প্রেমের গল্প কাহিনী 

প্রথমেতো একটা পরে কোথা থেকে
আরও একটা এসে গিয়েছিল।"তরুণ বলল,"ওতো একাটা ঢ্যামনা
ছেলে ওকে কামড়ানোই দরকার।" আসলে এই আয়ুশ হল এই মহল্লার
দারুণ বদমাশ  ছেলে।বয়স এগারো-বারোর মতোই হবে।বড়দের
সম্মান করেই না বিভিন্ন ভাবে বিরক্তও করে।বিশেষ করে পারিজাতরা
বাঙ্গালি বলেই বোধ হয়। 

এটা করে থাকে। ওর বাবা বংশীলাল কে
বলেও ওর শিক্ষা হয়নি।একবার তো কান ধরে উদোম মার দিল
তারপরেও শুধরোয় না।
 
রিকু বলল,"তারপর।" "তারপর আর কি! আয়ুশ তো ভয়েই অস্থির
থর থর করে কাঁপছে।কুকুর গুলো হিংসাত্বক ভাবে দাঁত বের করেছে,
একেবারে কামড়ে দেয় এমন অবস্থা।আমি একটু দূরেই দাঁড়িয়ে ছিলাম।
ভাবলাম গিয়ে কুকুর গুলোকে ভাগিয়ে দিই।

তখনি দেখলাম সেখানে
হিমানী এসে হাজির।"হিমানী এই মহল্লারই মেয়ে বয়স ঐ আঠারো-উনিশ
হবে।দেখতে নাইস,ত্বম্বি,প্রায় পাঁচ ফুট দুই তিন ইঞ্চি লম্বা।প্রায় সময়
জিন্স,টিশার্ট পরেই থাকে।শুধু ও কেন আমাদের গলির ওর বয়সি সব  
মেয়েরাই জিন্স-টিশার্ট পড়ে। ছোট করে ছাঁটা চুল। 

বাংলা রোমানটিক প্রেমের গল্প মেহেরান গঢ়ের রুপকথা। বাংলা প্রেমের গল্প কাহিনী 

ধূসর চোখে ফ্যাশনের  
চশমা।টিকালো নাক ফর্সা গাল যেন টুস্কি মারলেই লাল হয়ে যাবে।  
পারিজাতের এমন মেয়েদের প্রতি দারুণ দূর্বলতা আছে।হিমানির সোশ্যাল
এক্টিভিটি খুব ভালো। যেকোন কাজে এগিয়ে আসে। যেকোন মানুষের উপকার
করতে দ্বিধাবোধ করে না।সেই জন্যে মহল্লার সকলেই খুব পছন্দ করে হিমানীকে।
 পারিজাত একটু থেমে আবার বলতে শুরু করল ,

"দেখি হিমানী আয়ূশ কে আড়াল করে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।কুকুর
গুলোকে তাড়াচ্ছে।আসল ঘটনাটা ঘটল এইবার কুকুরগুলো ঘুরে হিমানিকে  
কামড়াতে যায় কামড়াতে যায় অবস্থা।"তরুণ বলল তুমি বাঁচাতে পারতে
তো?"হ্যাঁ তাই করলামতো হেই হেই করতে করতে ছুটে গেলাম একটা
পাথর ছুঁড়তেই একটা কুকুরের মুখে গিয়ে লাগতেই প্যাঁ প্যাঁ করে ছুটে
পালালো আর একটা কে একবার হেই করতেই পালিয়ে গেল।

"ভীষণ লজ্জ্বা পেয়েছিল হিমানি।" লজ্জ্বা পাওয়ারই কথা এক প্রকারের আমাদের
মহল্লার নেত্রি যাকে বলা চলে ।আর সেই নিজে যখন বিপদে পড়ে লজ্জ্বা  
পাওয়াটাই স্বাভাবিক। যাই হোক কথা গুলো বলে একটু চুপ করল পারিজাত।
তারপর আবার বলতে শুরু করল ,"এই ঘটনার পর থেকে হিমানির সাথে
দেখা হলেই কেমন মুচকি মুচকি হাসে।"রজত হেসে উঠে বলল, "শেষে
হিমানি তোমাকে লাইন মারছে।

বাংলা রোমানটিক প্রেমের গল্প মেহেরান গঢ়ের রুপকথা। বাংলা প্রেমের গল্প কাহিনী 

"পারিজাত হিহি করে হাসতে হাসতে বলল,
"আজকালতো আবার দেখা হলেই কথাও বলে" পিন্টু বিদ্রূপের হাসি হেসে  
বলে, "তাহলেতো জমে খীর।"পারিজাত সহজাত স্বরে, 'খীর হোক বা দই  
ওসব ভেবে লাভ নেই।'
পারিজাতের মনেও কিছুটা রং লেগেছিল বোধ হয় কারন হিমানীর মতো মেয়ের
কথা ভাবলে তার বুকেযে ঝড়  উঠবেই এটা নিশ্চিত।

মেয়েটার সাথে ক-দিনেই বেশ ভাব হয়ে গেল তার।খুব আগ্রহ আর কৌতূহলে তার    
সাথে কথা বলে।একদিন বাইজি তালাবের কাছে বৃষ্টিতে গর্তে জল জমে যাওয়া রাস্তা পার হচ্ছে হিমানি ।
খুব সাবধানে, পারিজাতের মনে হচ্ছিল এমন ফুলের মত পায়ে নোংরা না লেগে যায়।

মুখ তুলে হঠাৎ পারিজাতের মুখোমুখি।ফিক করে হেসে উঠে ,তারপর সেখানে দাঁড়িয়ে কত কথা হল।
হিমানীর বাঙালি কালচার খুব ভাললাগে । বিশেষ করে দূর্গাপুজো আর ধুনচি নাচ তার খুব পছন্দ।
পারিজাত হাসতে হাসতে জিজ্ঞেস করল, "আর কি ভাল লাগে?" কিছুক্ষণ ভেবে বলেছিল,
"মাথেপে বিন্দিয়া অউর হাতোকি শাঁখা-পওলা ।" 

পারিজাত অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেছিল,
"আরে বাহ ! আপকো বহুত  কুছ পাতা হ্যায়? অর আপকোভি বহুত খুব সুরত লাগেগি।"
লজ্জ্বায় লাল হয়ে যাচ্ছিল  হিমানি।  
পারিজাতের মনে সত্যিই রঙ লেগেছিল। হিমানীর স্বপ্নে বিভোর হয়ে থাকল।
   
           [দুই]
আজ আঠাশ তারিখ ছুটির দিন তাই সকলে মিলে স্থির হল কেল্লায় ঘুরতে যাওয়া
হবে।দুপুর দুপুর খাওয়া দাওয়া করে বেরিয়ে পড়ল ওরা সবাই। 'ঘোড়াচক' থেকে
অটো ধরে রওনা দিল কেল্লার দিকে। অটো স্বস্তিক গেটের ভিড় সামলে পাবলিক
পার্কের পেছন দিয়ে সাঁই সাঁই করে ছুটছে মাথার উপর মেঘলা নীল আর দুধারে
সারি সারি ছোট বড় দোকান মল পেরিয়ে যাচ্ছে ওরা ।

পেরিয়ে যাচ্ছে গোলাপি
নীল সাদা রঙের বাড়ী গুলি ।অবশেষে চিঁড়িয়াকূট পাহাড়ের ঢালু রাস্তা বেয়ে
এসে পৌঁছল মেহেরান গঢ় ফোর্ট। পারিজাতরা নেমে পড়ল অটোরিক্সা থেকে।
তাদের মতো আরও বহুলোকের ভিড় সেখানে ঐতিহাসিক কেল্লার নিদর্শন দেখতে
এসেছে তারাও।পারিজাতরা ঢুকে পড়ল কেল্লার দূর্গম প্রবেশ পথ ধরে।

মরুভূমির বুকে খাড়া হয়ে থাকা চিঁড়িয়াকূট পাহাড়ের উপর মেহেরানগঢ় কেল্লা
এক সময় রাজস্থানের ঐতিহ্যবাহি মাড়োয়ার রাজ্যের রাজধানী ছিল ।এখান থেকে  
সমস্ত যোধপুর এক নজরে ধরাদিল। যতদূর চোখ যায় নীল নীল  
ধোঁয়াশাময় নীল বাড়িগুলি। পেছন ফিরতেই ভারি আশ্চর্য হয়ে গেল পারিজাত।
পিন্টু চাপা গলায় একটু উচ্ছসিত হয়ে বলে উঠল, "আরে পারিজাত দাদ হিমানী।"
পারিজাত লাজুক হাসি হাসছে।ওরা সবাই তাহলে দেখতে পেয়েছে। রজত একটু
দিলখোলা হাসি হেসে বলল," ক্যাহে দো আজ দিল কি বাত।"

পারিজাত একটু ব্যাঙ্গ করেই মুখ ভেংচে," হুঁ ! দিল কি বাত, মার খেয়েছিস।
আমার সাথে তোরাও বাদ যাবি না। সিনেমার মতো সবকিছু সহজ হয় বুঝি?
রাজপুত ওরা আর আমরা বাঙ্গালী।"    
"অত ভয় পেলে চলবে?"
"ওসব বাদদে চল মিউজিয়ামে ঢুকি।" 

বাংলা রোমানটিক প্রেমের গল্প মেহেরান গঢ়ের রুপকথা। বাংলা প্রেমের গল্প কাহিনী 

রজত একটু কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করল,"কি আছে মিউজিয়ামে।"  
"রাজরাজাদের ব্যাবহার্য কিছু সামগ্রী হয়ত।" খুব সহজেই বেশি মাথা না ঘামিয়েই
জবাব দিল পারিজাত।সবাই চুপ করে মিউজিয়ামের দিকেই এগোচ্ছে।হঠাৎ রজতের
মনে আবার দুষ্টমি চেপে বসল।বেশ রসিয়ে বলে উঠল,  

"মুখে যাই বলো না পারিজাতদা 'আপকে মন মে লাড্ডু জরুর ফুটা'।" সবাই হো হো করে
হেসে উঠল।সত্যিই যে তার মনে রঙ লাগেনি তা কিন্তু নয়।পারিজাত ভালমতো বুঝে।
কিন্তু তার ভাবটা এমন দেখাচ্ছে যেন ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই।সবাই এগিয়ে গেলে  
স্বাভাবিক ভাবেই পারিজাত একটু পিছিয়ে যায়। সে ভাবতে থাকে সত্যিই কি তার কোন
উপায় নেই?

এমনতো নয় যে হিমানি কোন ভিন গ্রহের রাজকন্যা। তার কি এমন অদ্ভুত
ক্ষমতা আছে।সেও আর পাঁচটা মেয়ের মতোই মেয়ে। একটু না হয় সুন্দরী। কেন সে  
কোন রাজপুত্র হয়ে জন্মালো না ! ঠাকুমার মুখে ছোটবেলায় একবার রূপকথার গল্প
শুনেছিল।সাধারণ যুবকের সাথে কিভাবে  রাজকন্যার পরিণয় হয়েছিল শেষ প্রর্যন্ত। 

পারিজাত
ভালোমতো জানে এসব রূপ কথাতেই হয়।তার জীবনে এমন কিছু অঘটন কখনোই
ঘটবে না। ধুস সে এইসব ভাবছেই বা কেন?

সিঁড়ি দিয়ে উঠে  শিষ মহল,রঙ মহল দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে যায় সে। আহা, কি রঙিন,
অপূর্ব এই জলসাঘর। কতশত বছর আগে,সেসব রাজাদের জীবন কতই না বিলাস বহুল
কাটত। যেন সে তার কল্পনার রাজ্যে পৌঁছে গেছে। ঠিক রূপকথার বর্ণনার মতো।

রাজকুমারীরাও নিশ্চয় স্বর্গীয় সুন্দরী হত হিমানীর মতোই। সে হারিয়ে যাচ্ছে এই  
চাকচিক্য ঐতিহ্যময় রাজকীয় পরিবেশে।পূর্ব জন্মের রূপকথা থেকে উড়ে আসছে
দু-একটা সাদা , বাদামি পায়রা।  

তার সামনে এগিয়ে আসছে অনন্য সুন্দরী রাজ কুমারীরা পাখির কলতানের মতো
খিল খিল হাসছে।সে হাসির ধ্বনি-প্রতিধ্বনি সমস্ত রাজ মহল ছড়িয়ে পড়ছে।ঐ
তো হিমানী কি মনোরম রাজকীয় বেশ। সমস্ত নক্ষত্রমণ্ডল তার পোশাকে বিঁধে
গিয়েছে।রঙবেরঙের প্রজাপতিরা তার কোমরে ,বাজুতে,কাঁধে উড়ে উড়ে বসছে।


এক মহাকাশ হাসির ঝর্ণা ঝরিয়ে তার পাশ দিয়ে চলে গেল।এইতো সে পূর্ব জন্মে
ফিরে এসেছে।আর কোন বাধা নেই।

"পারিজাতদা কি ভাবছ।" রজতের ডাকে সম্বিৎ ফিরল তার।
"অ্যাঁ , কিছু না।"  
পারিজাত দেখল হিমানি কয়েকজন বান্ধবীর সাথে হাসাহাসি করছে। আর সেলফি নিচ্ছে।  
জানলা দিয়ে তন্ময় হয়ে শহরের উলটো দিকের বিহার-কাঁটা গুল্মের দৃশ্য ক্যামেরা বন্দি
করতে ব্যাস্ত। আর তখনই পেছন থেকে নীল জিন্স ইয়েলো টীশার্ট পড়া এক সুদর্শন

যুবক হিমানীর গালে চুমু দেয়।পারিজাত চেনেনা তাকে চিনবার কোথাও নয়।অজানা
আশঙ্কায়  বুকটা কেমন ধড়াস করে উঠে।
প্রথমে চমকে উঠে হিমানী পিছু ফিরে মুচকি হেসে ঠোঁটকে ছুঁচোর মতো করে স্মুচ দিল।

পারিজাতের বুকের ভিতর যে কল্পনার রূপকথা গড়ে উঠেছিল।ভীষণ ঝড়ে সে রূপকথার
কাঁচমহল ভেঙ্গে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেল। কি অস্থির, কি অসহায় লাগছে তার।এক লহমায়
তার স্বপ্ন যা স্বপ্নই ছিল না কখনও ভেঙ্গে গেল।

এইবার ভেঙ্গে পড়বে এই রাজ মহল।পালাতে হবে ,পালাতে হবে তাকে। পূর্ব জন্ম থেকে
রূপকথার দু-একটা সাদা, বাদামি পয়রা উড়ে পালাচ্ছে মেহেরান গঢ়ের আকাশ থেকে।
পারিজাত স্পষ্ট অনুভব করল বুকের ভিতর তাদের ডানা ঝাপটানোর আওয়াজ।
          [সমাপ্ত ]
Previous
Next Post »

এই ব্লগটি সন্ধান করুন