মন ভাঙনের পাড়ে
শক্তি সামন্ত
[নয়]
বয়েজ ছাঁট চুলের মেয়েটা
এমনিতে এত সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠার অভ্যেস নেই রূপকের। আজ খুব সকালেই ঘুম ভেঙ্গে গেল।
বাবা প্রায় বলেন, সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে । "যে ঘুমিয়ে রয় তার ভাগ্যও ঘুমিয়ে থাকে।"
ভাগ্য ঘুমিয়ে থাকে কি না সে জানে না তবে সকাল বেলায় ঘুম ভাঙলে পৃথিবীটা খুব সুন্দর মনে
হয়। সারাদিন মনটা চাঙ্গা হয়ে থাকে ।এক প্রজিটিভ এনার্জি এফেক্ট করে শরীরে।
অবশ্য কাল
বেশি রাত পর্যন্ত ফেসবুক করেনি। যার ফলে ঘুমটা ভালো হয়েছে অনেক দিন পর।চা আর হালকা
টিফিন করে নিয়ে বই খুলে বসল। অনেক দিন আগের কিনে রাখা পূরানো এডভেঞ্চার গল্পের বই।
পড়াই হয়ে উঠেনি সব। জুলভার্নের একটা বই খুলেছে।পড়তে পড়তে কতটা বেলা হয়ে গেছে বুঝতে
পারেনি।ফোনের রিং বাজছে বিতানের কল। বই বন্ধ করল রূপক।ক্লাবের সামনে অপেক্ষা করছিল
বিতান।রূপক বাইকে চড়ে বসল।
আজও আবার আনন্দপুরের দিকে।রূপক দেখতে পেল সুনিতা আর
শম্পা হেঁটে আসছে, কাঁধেতে নীল ওড়না চোখে মায়াবী কাজল।আহা,এই এক মুহুর্ত্বে যেন সারা জীবন
বেঁচে থাকার আনন্দ উপলব্ধী করা যায়। আজ দিনটা নেহাৎ ভালো ছিল। মনের ভিতর হাজার স্বপ্নের
ফুল ফুটছে ,সুনিতার হালকা বাদামি রঙের চুল গুলো মুখের উপর যেন উড়ে আসছে। বিতান
ব্রেক কষলে তার ঘোর কেটে যায়।
আনন্দপুরের কাছাকাছি চলে এসেছে তারা ।রূপক দেখতে পেল
বয়েজ ছাঁটের সেই মেয়েটা। বিতান দাঁড়িয়ে পড়ল।স্কুল ফ্রকে আজও মেয়েটাকে বেশ পরিপাটি ঝরঝরে
পরিষ্কার দেখাচ্ছে।আজও সেদিনের মতো চুলের ঝটকা দিয়ে ফিরে তাকাল।
[dharabahik uponyas । মন ভাঙনের পাড়ে episode 9 । বয়েজ ছাঁট চুলের মেয়েটা]
ফিরে এসে ক্লাবের সামনে বসে আছে রূপক আর বিতান তাকে বুঝাচ্ছে মেয়েরা একটু চটপটে স্মার্ট ছেলেদের প্রেমেই
পড়ে।যতই ভালো হোক কখনোই সাধারণ ছেলেদের প্রেমে পড়ে না। রূপক চুপ করে বাধ্য ছাত্রের মতো
শুনে যাচ্ছে।
আর বিতান তার জ্ঞ্যানের ঝুলি থেকে একের পর এক দার্শনিক তত্ব বুঝিয়ে যাচ্ছে।কিন্তু এই
মুহুর্ত্বে রূপকের যা দরকার ভালো চাকরী ভালো মাইনে।না হলে সুনিতা কেন কোন মেয়েই তার ভাগ্যে
জুটবে না। ব্যাঙ্গলোরের চাকরীটা তার পোষায় না।বাধ্য হয়েই করতে হয়।কিছু না করার থেকে ভালো।
সূর্য প্রায় মাঝ গগনে, দুপুর হয়ে আসছে।
এই বর্ষাকালে মেঘ জমে থাকলে আকাশে বৃষ্টি না হলে ওয়েদার কেমন যেন গুমোট-গরম লাগে।
দুপুরে একটু ঘুমিয়ে পড়েছিল কখন বিকেল হয়ে গেছে বুঝতে পারেনি। চোখ মুখ ধুয়ে মোবাইলটা
হাতে নিয়ে ফেসবুকে লগইন দিয়েছে এমন সময় প্রাণেশের কল। আরে ভুলেই গিয়েছিল আজ
বোধিস্বত্বের দাদার মেয়ের বিয়ে।
dharabahik uponyas । মন ভাঙনের পাড়ে episode 9 । বয়েজ ছাঁট চুলের মেয়েটা]
নিমন্ত্রণ ছিল। ঋজুর সাথে অনেক বার বোধির ঘরে গেছে রূপক।তাছাড়া বোধির সাথে রূপকের
ঘনিষ্ঠতার একটা অন্যতম
কারণ ছিল সুনিতা।হ্যাঁ ,সুনিতাদের বাড়ির সাথে বোধির ভাল রকম যোগাযোগ। আজ সুনিতা নিশ্চয়
আসবে। রূপকের মনে এক অনির্বচনীয় আনন্দ ঝিলিক দিল। রূপক চট জলদি তৈরি হয়ে বেড়িয়ে পড়ল।
বাইরে চলে গেলে আবার কবে আসবে তার ঠিক নেই।
একটা বিয়ের অনুষ্ঠান কাটিয়ে যাওয়ায় যাক।
মনে মনে ভেবে নিল সুযোগ পেলেই প্রপোজ করে দেবে।
বোধিদের বাড়ির প্রাঙ্গণে যেতেই রূপকের দু-চোখ কাউকে খুঁজে বেড়াচ্ছে।নিশ্চয় এসেছে সে।এত
হৈচৈ এর মধ্যে ঋজু ইশারা করতেই রূপকের চোখ গেল কনের পাশে ঝলমলে পোশাকে বসে আছে
সুনিতা আরও অনেকের সাথে।
আজ রাতটা কি অন্য রকম হয়ে থাকবে রূপকের কাছে!শুধু যদি
কথা বলতে পারে ওর সাথে।ব্যাস এইটুকুতেই সব পাওয়ার সাধ মিটে যাবে আজকের মতো ।
সেই আশাতেই হাপিত্যেশ করে আছে।ছটপট করছে তার মন একটু
সুযোগ যদি সে পেয়ে যায়।ঋজু যখন ফুলের তোড়ার সাথে গিফটের প্যাকেটটা ধরিয়ে দিচ্ছে
বোধির ভাইঝির হাতে।
যেখানে কনে সেজে বসেছে,রূপক চেষ্টা করছে ভিতরে ঢুকবার সুনিতা
তক্ষুনি বেরিয়ে গেল।হতাশ মনে রূপক সরে দাঁড়াল। তবেকি রূপককে দেখেই পালিয়ে গেল।
বিয়ের লগ্ন এখনো বাকি আছে। ওরা খেয়ে নিবে সিদ্ধান্ত করল। তারপর কতক্ষণ থাকা যায়
ভাবা যাবে।নিজেকে খুব অসহায় লাগছে রূপকের একটু সাহস করে বলা যেতেই পারে কিছু
কথা। মনে ভরপুর সাহস নিয়ে এগিয়ে যায়।
dharabahik uponyas । মন ভাঙনের পাড়ে episode 9 । বয়েজ ছাঁট চুলের মেয়েটা]
কিন্তু কে যেন তার ঠোঁট সেলাই করে দিয়েছে কিছুতেই বলে উঠতে পারছে না।ঋজু, প্রাণেশ
অনেকবার সাহস জুগিয়েছে। না পারেনি বলতে। বুকের ভিতর ধড়াস ধড়াস করছে।
একদিকে বিয়ের আর এক দিকে নাচ গানের আসর বসেছে।খাওয়া দাওয়া হয়ে গেছে।দেব বলল,"চল
একটু নাচ দেখি।"একেবারে পেছনের দিকে চেয়ার নিয়ে বসল সবাই। এখানে আওয়াজ একটু কম
আসছে।একটু আরাম করে বসেছে দেব তার সামনে রূপক।
একটু পরে সুনিতা, শম্পা, আর পিয়ালি এসে বসবার কথা বলতেই ঋজু তিনটে চেয়ার এনেদিল।চেয়ার
গুলো ওরা রূপকের সামনে পেতে বসল। সুনিতাদের কাছ থেকে পারফিউমের গন্ধ আসছে।রুপকের
হাতে চাঁদ পাওয়ার মতো ব্যাপার। বুকে দামামা বাজছে।এত দিনে সুনিতাও বুঝতে পেরে গেছে একটা
ছেলে দিন রাত তার আগে পিছে কেন ঘুর ঘুর করে।
এবার বোধি এসে বসল রূপকের পাশে। জিজ্ঞাসা
করল খাওয়া হয়ে গেছে কিনা। গল্প শুরু করে দিল।বিশেষ করে সুনিতার সাথেই। সুনিতাও বক বক
করে অনেক কথা বলে যাচ্ছে।
উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা তার প্রস্তুতি।তার পর গ্রাজুয়েশন,এম এ । এমন অনেক কথা ।
বোধি জিজ্ঞেস করল বিয়ের ব্যাপারে তার কি চিন্তা ভাবনা।প্রেম করছে কি না ।সুনিতার উত্তর না।
তবে কেউ একজন তার পিছনে পড়ে আছে।তাছাড়া বিয়ে এত তারাতাড়ি সে করবে না।রুপকের মনে
প্রশ্ন জাগে সেই একজন কি তাহলে সে নিজে?এটাকে কি সে সুনিতার দিক থেকে সবুজ সঙ্কেত ধরে নিবে?
তাহলে রূপকের প্রপোজাল দেওয়াটা সহজ হবে।
অন্তত প্রত্যাখ্যান হওয়ার ভয় কম হবে। এদিকে বিয়ে
শুরু হয়ে গেছে সুনিতারা উঠে গেল সেদিকেই।কথায় কথায় অনেক কথায় হল শুধু রূপকের সাথে তার
কোন কথাই হল না ।তবে ইশারা ইশারায় রূপকের কথাও বলে গেছে সুনিতা।
দেব বাড়ি ফেরার জন্যে অস্থির হয়ে যাচ্ছে।প্রাণেশও আর বেশি দেরি করতে চাই্ছে না ।শুধু রূপকের
যেন মন চাই্ছে আরও কিছুক্ষণ থেকে
যায়।প্রায় ভোর রাতে বাড়ি ফিরল রূপক। দারুণ ক্লান্ত লাগছে শুধু শরীরে নয় মনেও।দু-চোখ জড়িয়ে
আসছে।
বটতলায় এসে দাঁড়াল রূপক।
সেরকম ভারি ঝড় হলে উলটে না পড়ে যায় গাছটা গড়ায় মাটি আলগা হয়ে গেছে।
এর আগে অনেক গুলি ডাল পালা ভেঙ্গে পড়েছে।নতুন করে ঝুরি নামছে কয়েকটা এই
বর্ষায় মাটির স্পর্শ পেলেই নতুন করে বেঁচে উঠবে গাছটা।নতুন জীবনের স্পন্দন পাবে গাছটা।
সেই ছোট বেলা থেকেই দেখে আসছে গাছটাকে।
তার তলায় কত খেলা ধুলা করেছে।যেখানেই থাক আর
যেখানেই যাক না কেন ।জীবনময় এই গাছের স্মৃতি চিরকাল তার সঙ্গে থাকবে। বিতান আসছে কয়েক
দিন দেখা হয়নি ওর সঙ্গে।পাশাপাশি বসে খুশ মেজাজে গল্পে মেতে উঠল।কাল বিতান পিঙ্কিদের বাড়ি
গিয়েছিল ।কেউ ছিল না। একলা পেয়ে অনেক রোমান্স করেছে ওরা।রূপকের আর কি! সেসব গল্প
শুনে যেতে হবে।
একবার সুনিতার সাথে এক ঝলক দেখা হলে যেন রূপকের মনে হয় সব পেয়েছি।
আর কোন চাওয়া-পাওয়া নেই।সেদিনের মতো শান্তি বিরাজ করে সারাটা দিন।আবারও চলল যেখানে
তার হৃদয় ফেলে এসেছে।বিতান উঠে পড়ে লেগেছে তার সম্পর্ক জুড়ে দিতে আনন্দপুরের মেয়েটার সাথে।
কিন্তু সেকি পারবে? রূপকের মনে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারন সে জানে ভাগ্যের থেকে বেশি আর সঠিক সময়ের আগে
মানুষ কখনও কিছু পায় না।
আর এই মেয়েটার প্রতি তার তেমন কোন টান নেই। হ্যাঁ ,তাকে
দেখতে ভালো,স্মার্ট।কিন্তু রূপকের কেন যেন মনে হয় এই মেয়েটি মোটেও সৎ নয় লোভী।বিতান
একটা ফাঁকা রাস্তা দেখে দাঁড়াল। দুজনে কিছু কথা বার্তা বলছে আর অপেক্ষা করছে বয়েজ ছাঁট চুলের
মেয়েটার জন্যে।
একদল মেয়ের সাথে হেঁটে আসছে মেয়েটা মনে হয় ওদের কে দেখে হাঁটার গতি কমিয়ে পেছনে সরে
গেল অন্য মেয়ে গুলির থেকে। বিতান রূপককে শিখিয়ে দিল কিভাবে কথা বলতে হবে।কি বলতে
হবে।মেয়েগুলো ওদের পাশ দিয়ে অকারণ খিল খিল হেসে চলে গেল।
মেয়েটা অনেকটাই কাছে এসে গেছে।
দুজনকেই অবাক করে দিয়ে মুচকি হাসি হেসে জিজ্ঞেস করল, "তোমাদের বাড়ি কোথায় গো?"
বিতান অগ্রসর হল তার সাথে কথা বলতে। রূপক ভাবছে 'এ যে মেঘ না চাইতেই বৃষ্টি।' রূপকদের
ঠিকানা জানতে পেরে মেয়েটা
জানাল,"আমার মাসি বাড়িও ওখানে।" বিতান কিছু একটা বলতে চাইছিল।রূপক জিজ্ঞেস করল,
"তোমার মেসোমশাইয়ের নাম কি?"
এবার রূপকের চোখে চোখ রাখল মেয়েটা।রূপকের বুকের ভিতরটা যেন চিন চিন করে উঠল
এবার ধক ধক করছে।এভাবে অপরিচিত মেয়েদের সাথে কথা বলতে অতটাও সাবলীল নয়।
রূপকের কাছে এই মুহুর্ত্বে সমস্ত পৃথিবীর কোন অস্তিত্বই নেই যেন কিছুই দেখতে পাচ্ছে না।
আবার বিতানের দিকে তাকিয়ে লাস্যময়ী মেয়েটা উজ্জ্বল মুখের দু-পাশে চুল গুলো দুলিয়ে
দুলিয়ে বলছে," তুফান দত্ত।'
বিতান বলল, "ওহ আচ্ছা চিনিতো।"
তারপর মেয়েটা আবার প্রশ্ন করল,"আচ্ছা তোমরা আমার পিছু কর কেন?"
রূপক এবার ভয় পেয়ে গেল তোতলাতে তোতলাতে বলল, "না না না মানে আমরা তোমার-
পিছুউউ করব কেন?"
"তাহলে রোজ আসা হয় কেন?" রূপকের কথা শেষ হওয়ার আগেই পুনঃ প্রশ্ন করে মেয়েটা।
বিতানের বরাবর একটু বেশিই সাহস।নির্ভয় হয়ে স্মার্টলি বলেই ফেলল, "হ্যাঁ,তোমার পিছু করি।"
আরও কিছু বলতে যাবে। তৎক্ষণাৎ সেখানে একটা হোমড়া-চোমড়া গোলগাপ্পা টাইপের ছেলে
এসে হাজির। সম্ভবত মেয়েটার পাড়াতুতো দাদা হবে। রুক্ষ গলায় মেয়েটাকে জিজ্ঞেস করল,
"কি হয়েছে রে?"
রূপকদের তখন "রঞ্জনা আমি আর আসব না'র" মতো ব্যাপার।
না, তবে মেয়েটা বেশ বুদ্ধিমতী গণ্ডগোল এড়িয়ে গেল বলল, "না , কিছুই না।আমার পরিচিত,
মাসি বাড়ির লোক।" হাঁফ ছেড়ে বাঁচল রূপক।
বিতান বলল,"চল পালিয়ে চল।"
"আচ্ছা আসি তাহলে বাই আবার দেখা হবে।"
মেয়েটাও ছোট করে হাত নেড়ে বলল, "ও কে, বাই!"
আসতে আসতে বিতানের মনে হল, "এই যাহ!নামটা জানা হল না কিন্তু।"
আজও আবার চলল তারা মনের ঠিকানা খুঁজতে।সুনিতাদের বাড়ী পেরিয়ে আনন্দপুর।অনেকটা রাস্তা
এসে গেছে।
স্কুলে যাওয়া একটা ছেলে বিতানদা বলে ডেকে, দাঁড়াতে বলল,"আজ দেরি হয়ে গেছে একটু স্কুলে
ছেড়ে দেবে?"
বিতানতো অবাক হয়ে বলল," চল বসে পড়।আচ্ছা,তুই আমার নাম জানলি কি করে?"
ছেলেটা চটজলদি বাইকে বসতে গিয়ে বলল, "আরে সেদিন আমাদের পাড়ায় শীতলা পূজার চাঁদা
কাটতে এসেছিলে না। আর একজনের সাথে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছিল।একজন তোমাকে বিতান বলে
ডাকছিল।"
বিতান হাসতে হাসতে বলল,"ওহ তোর মনে আছে দেখছি।" তারপর পরিচয় হয়ে গেল ছেলেটার
সাথে।ওর নাম অমিত অধিকারি।বিতান সেই বয়েজ ছাঁটের চুলের মেয়েটার বিবরণ দিয়ে মেয়েটার সম্মন্ধ্যে
জিজ্ঞেস করলে,জানতে পারল তার নাম রিমা। তাদের ক্লাসেই পড়ে।রেজাল্ট নিয়ে অমিতের সাথে
কম্পিটিশন মাধ্যমিক দেবে দুজনেই।
অমিত সেকেন্ড আর রিমা ফার্স্ট।অমিতের কোন টিউশন টিচার নেই
থাকলে সেই নাকি ফার্স্ট হতে পারত। সেই নিয়ে তার একটু দূঃখ।বাবা অকালে মারা গেছে।দুই দিদি আর সে।
মা একটা নার্সারি স্কুলে পড়িয়েই সংসার চালায়। এই সব শুনতে শুনতে অমিতকে স্কুলে
ছেড়ে দিয়ে আসে।
আজ বিতানকে একটু উদাস লাগছে।অমিতের কথা শুনে ইমোশনাল হয়ে পড়েছে। বিতান অনেক
ভেবে একটা সিদ্ধান্ত নিল যেকোন ভাবে অমিতকে আর্থিক ভাবে সাহায্য করতে হবে।
[এরপর বিতান কি সাহায্য করতে পারবে অমিতকে? রুপকের সাথে কি আবারও দেখা হবে মেয়েটার?
**************
স্বপ্নে বই পড়া অসম্ভব ? দেখুন ভিডিও
ConversionConversion EmoticonEmoticon