ভ্যালেন্টাইন
শাক্তি সামন্ত
ভুলেই গিয়েছিল সুমন আজ ভ্যালেন্টাইন ডে।বসে ছিল স্টেশনের চেয়ারটায়। চোখের সামনে
একগোছা লাল গোলাপ ফুল হঠাৎ ভেসে উঠলো।চমকে উঠল সুমন ।মনে পড়ে গেল কয়েকবছর আগের ভ্যালেন্টাইন ডে এর কথা ।সেদিন মনে অনেক সাহস জুটিয়ে সুদীপ্তার কাছে
গিয়ে বলে ছিল ,হ্যাপি-ভ্যালেন্টাইন ডে । তারপর যা হওয়ার আর কি !
গালে হাত বুলাতে বুলাতে এক লজ্জাজনক ঘটনা ভাবতে ভাবতে মুচকি হেসে ।মুখ তুলতেই
দেখল একটা ছোট্ট মেয়ে তাকে কিছু গোলাপ কেনার আবদার করছে ।
পকেট থেকে একশো টাকার নোট বের করে দিয়ে ।কয়েকটি গোলাপ কিনে নিলো সুমন।তারপর
হাঁটা শুরু করল।
সুমন এখন একটি গার্মেন্টসের মালিক ।ভালোই চলছে তার ব্যাবসা।জীবনে তেমন কোন সমস্যা নেই।
হাতের গোলাপ গুলি একবার মুখের সা
মনে তুলে দেখল।নিজেকে কেমন নিরাশ মনে হল।থাপ্পরটা মনে
আছে সুমনের খুব জোরে না লাগলেও আঘাতটা লেগেছিল একদম হৃদয়ের ভিতর পর্যন্ত।
তারপর বহুদিন লজ্জ্বায় অপমানে নিজের কাছেই নিজে …কতটা যে ছোট হয়েছিল সেদিন ।ভাবলে আজও
অসহায় লাগে সুমনের। যাক তার পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েনিয়েছিল সুদিপ্তা।যদিও সুদীপ্তা এখনও তার বেস্টফ্রেন্ডই আছে।
ফুটপাথ ধরে হেঁটে চলেছে সে ।এই রাস্তাটা প্রায় নির্জনই থাকে।
-আরে সুমন কোথায় যাচ্ছিস ?
সামনে থেকে একটা অটো রিক্সা এসে থামল সুমনের কাছে। সুদীপ্তা নেমে এল হাসি মুখে।
-এইতো…… একটু অবাক হয়ে গেল সুমন।
আজ এমন দিনে যার কথা ভাবছে সুমন, সেই একদম হঠাৎ করে তার সামনে এসে হাজির । জিজ্ঞেস করল।
-তুই এমন সময় কোথায় যাবি?
সুমনের হাতের গোলাপটা দেখে বলল ওহ আচ্ছা বুঝেছি কাউকে প্রপোজ করতে যাচ্ছিস বুঝি।
-আরে না না। একটা মেয়ে বিক্রি করছিল আমাকে কিনতে আবদার করল তাই নিয়ে নিলাম।
-ওহ; তাহলে আমাকে দিয়ে দে। আমার কাজে লাগবে। বলে একেবারে হাত থেকে যেন কেড়ে নিল।
তারপর দুজনেই হাঁটছিল সুমনকে একটু আজ উদাস দেখাচ্ছে।
-তোর মনটা খারাপ কেনরে আজ?
-না.. তো।
-ঠিক বলছিস?
-হ্যাঁ..
সুদীপ্তা থমকে দাঁড়িয়ে বলল,
-আচ্ছা, একটা গিফট কিনি চল।
সুমন মুচকি হেসে বলল,
-তোর বয়ফ্রেণ্ডের জন্যে।
– সুদীপ্তা হাসতে হাসতে বলল,
-ঠিক ধরেছিস। আচ্ছা কি দেওয়া যায় বলতো।
-চল আমার দোকান থেকে ভালো দেখে একটা ড্রেস কিনে দে।
অবশেষ দুজনে সুমনের দোকানে গিয়ে ড্রেস পছন্দ করে তারপর ভালো করে গিফট প্যাক করে নিল।
ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে প্যাকেটটা, সুদীপ্তা বলল,
-আচ্ছা চলনা তুইও আমার সাথে। একা একা……
-আরে দোকান ছেড়ে কেমন করে যাবো।
-ওরা তো আছে সামলে নেবে।
তারপর দুজনেই বেরিয়ে পড়ল। সুদীপ্তাকে
কোন বিষয়েই না বলতে পারেনা সুমন। সেই স্কুল থেকেই তাদের বন্ধুত্ব।আর
তখন থেকেই সুদীপ্তার প্রতি একটা অন্য রকম ফিলিংস আজও হয়।সেইসব স্মৃতি
আজও তার মনে ভেসে উঠে।মন খারাপ হয় দারুণ।অঙ্কের খাতায় কত লিখে রেখেছিল
তার নাম। মনে পড়ে এক সাথে পাশাপাশি সাইকেল চালিয়ে গল্প করতে করতে স্কুল
থেকে ফেরা।গল্পের মতই সেসব দিন কোথা দিয়ে ফুরিয়ে গেছে।
পার্কের বেঞ্চে এসে বসে আছে ওরা। দুপুরের নির্জনতায় কেমন যেন উদাস হয়ে যায় সুমন।
কাউকে ভালোবেসেও না পাওয়ার ব্যাথা যে কি। এই মুহুর্তে সুমন ছাড়া আর কে বুঝে। চোখের
সামনে সুদীপ্তা অন্য কারও হয়ে যাবে সেটা ভাবতেই খারাপ লাগছে সুমনের।
কিছুক্ষন পর সুদীপ্তা সুমনের হাত ধরে বলল,
-দেখ সেদিনের জন্যে আমি খুবই অনুতপ্ত।
সঙ্গে সঙ্গে সুমন
-আমি ভুলে গেছি সব।
খুব ধীর গলায় সুদীপ্তা বলল,- আসলে এই গিফট টা তোর জন্যেই।
-কি, মানে?
বিষ্ময়ে ফিরে তাকাল সুমন সুদীপ্তার চোখে।
-কি বলছিস?
-হ্যাঁ।
ধীরে ধীরে হাতের গোলাপটা সুমনের দিকে বাড়িয়ে দিল সুদীপ্তা।
-আই লাভ ইউ!হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
[সমাপ্ত]
আছে সুমনের খুব জোরে না লাগলেও আঘাতটা লেগেছিল একদম হৃদয়ের ভিতর পর্যন্ত।
তারপর বহুদিন লজ্জ্বায় অপমানে নিজের কাছেই নিজে …কতটা যে ছোট হয়েছিল সেদিন ।ভাবলে আজও
অসহায় লাগে সুমনের। যাক তার পরে অবশ্য ক্ষমা চেয়েনিয়েছিল সুদিপ্তা।যদিও সুদীপ্তা এখনও তার বেস্টফ্রেন্ডই আছে।
ফুটপাথ ধরে হেঁটে চলেছে সে ।এই রাস্তাটা প্রায় নির্জনই থাকে।
-আরে সুমন কোথায় যাচ্ছিস ?
সামনে থেকে একটা অটো রিক্সা এসে থামল সুমনের কাছে। সুদীপ্তা নেমে এল হাসি মুখে।
-এইতো…… একটু অবাক হয়ে গেল সুমন।
আজ এমন দিনে যার কথা ভাবছে সুমন, সেই একদম হঠাৎ করে তার সামনে এসে হাজির । জিজ্ঞেস করল।
-তুই এমন সময় কোথায় যাবি?
সুমনের হাতের গোলাপটা দেখে বলল ওহ আচ্ছা বুঝেছি কাউকে প্রপোজ করতে যাচ্ছিস বুঝি।
-আরে না না। একটা মেয়ে বিক্রি করছিল আমাকে কিনতে আবদার করল তাই নিয়ে নিলাম।
-ওহ; তাহলে আমাকে দিয়ে দে। আমার কাজে লাগবে। বলে একেবারে হাত থেকে যেন কেড়ে নিল।
তারপর দুজনেই হাঁটছিল সুমনকে একটু আজ উদাস দেখাচ্ছে।
-তোর মনটা খারাপ কেনরে আজ?
-না.. তো।
-ঠিক বলছিস?
-হ্যাঁ..
সুদীপ্তা থমকে দাঁড়িয়ে বলল,
-আচ্ছা, একটা গিফট কিনি চল।
সুমন মুচকি হেসে বলল,
-তোর বয়ফ্রেণ্ডের জন্যে।
– সুদীপ্তা হাসতে হাসতে বলল,
-ঠিক ধরেছিস। আচ্ছা কি দেওয়া যায় বলতো।
-চল আমার দোকান থেকে ভালো দেখে একটা ড্রেস কিনে দে।
অবশেষ দুজনে সুমনের দোকানে গিয়ে ড্রেস পছন্দ করে তারপর ভালো করে গিফট প্যাক করে নিল।
ব্যাগে ঢুকিয়ে নিয়ে প্যাকেটটা, সুদীপ্তা বলল,
-আচ্ছা চলনা তুইও আমার সাথে। একা একা……
-আরে দোকান ছেড়ে কেমন করে যাবো।
-ওরা তো আছে সামলে নেবে।
তারপর দুজনেই বেরিয়ে পড়ল। সুদীপ্তাকে
কোন বিষয়েই না বলতে পারেনা সুমন। সেই স্কুল থেকেই তাদের বন্ধুত্ব।আর
তখন থেকেই সুদীপ্তার প্রতি একটা অন্য রকম ফিলিংস আজও হয়।সেইসব স্মৃতি
আজও তার মনে ভেসে উঠে।মন খারাপ হয় দারুণ।অঙ্কের খাতায় কত লিখে রেখেছিল
তার নাম। মনে পড়ে এক সাথে পাশাপাশি সাইকেল চালিয়ে গল্প করতে করতে স্কুল
থেকে ফেরা।গল্পের মতই সেসব দিন কোথা দিয়ে ফুরিয়ে গেছে।
পার্কের বেঞ্চে এসে বসে আছে ওরা। দুপুরের নির্জনতায় কেমন যেন উদাস হয়ে যায় সুমন।
কাউকে ভালোবেসেও না পাওয়ার ব্যাথা যে কি। এই মুহুর্তে সুমন ছাড়া আর কে বুঝে। চোখের
সামনে সুদীপ্তা অন্য কারও হয়ে যাবে সেটা ভাবতেই খারাপ লাগছে সুমনের।
কিছুক্ষন পর সুদীপ্তা সুমনের হাত ধরে বলল,
-দেখ সেদিনের জন্যে আমি খুবই অনুতপ্ত।
সঙ্গে সঙ্গে সুমন
-আমি ভুলে গেছি সব।
খুব ধীর গলায় সুদীপ্তা বলল,- আসলে এই গিফট টা তোর জন্যেই।
-কি, মানে?
বিষ্ময়ে ফিরে তাকাল সুমন সুদীপ্তার চোখে।
-কি বলছিস?
-হ্যাঁ।
ধীরে ধীরে হাতের গোলাপটা সুমনের দিকে বাড়িয়ে দিল সুদীপ্তা।
-আই লাভ ইউ!হ্যাপি ভ্যালেন্টাইন্স ডে।
[সমাপ্ত]
ConversionConversion EmoticonEmoticon