প্রাচীন এই মন্দিরটি পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য বিবেচিত হয়েছে।
কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ভাট মন্দিরের প্রবেশ এলাকায় সম্রাট সূর্যবর্মন-২ এর নির্মিত সপ্তশির নাগের প্রস্তরমূর্তি যা বহন করে ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র।
পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু এবং বড়ো মন্দির হল, কম্বোডিয়ার আঙ্কোরভাট মন্দিরটি।
১২শ শতাব্দীতে এই মন্দিরটি নির্মাণ করেছিলেন রাজা দ্বিতীয় সূর্যবর্মন। তিনি এটিকে তার রাজধানী ও প্রধান উপাসনালয় হিসাবে তৈরি করেন। তখন থেকেই এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থান হিসাবে বিবেচিত। মন্দিরটি ভারতীয় স্তাপত্যকীর্তি লক্ষ করা যায়
সুবিশাল এই মন্দিরটির আশে পাশে আরও বহু মন্দির রয়েছে।
কম্বোডিয়ার আঙ্কোর ভাট মন্দিরের প্রবেশ পথে, সপ্তশির নাগের প্রস্তরমূর্তি যা বহন করে ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র। একটি অনবদ্য নিদর্শন।
আঙ্করভাটের নির্মাণশৈলী খেমার সাম্রাজ্যের স্থাপত্য শিল্পকলার অণুপম নিদর্শনের পরিচয় বহন করে। এ এই মন্দিরটির ছবি কম্বোডিয়া দেশের জাতীয় পতাকায় স্থান পেয়েছে।
আংকোর ভাট মন্দির টি এই দেশের একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র। যা পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কারন হিসেবে মনে করা হয়।
সপ্তশির নাগ |
আঙ্করভাটে মন্দির নির্মাণ কৌশলের দুই ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে - টেম্পল মাউন্টেন বা পাহাড়ি মন্দিরের ধাঁচে, ও গ্যালারি মন্দিরের ধাঁচে।
এই মন্দিরের আদল হিন্দু দেব দেবিদের বাসস্থান মেরুপর্বতের অনুরুপে নেওয়া হয়েছে। মন্দিরটি চারদিকে পরিখা দিয়ে ঘেরা প্রায় ৩.৬ কিমি দীর্ঘ প্রাচীর দ্বারা।ভেতরের মধ্যস্থলে বেশ কয়েকটি আয়তকার গ্যালারি বা বেদি উঁচু স্থানে রয়েছে।
কম্বোডিয়ার অন্যান্য মন্দিরের তুলনায় এটি সবচেয়ে বড় এবং প্রধান পার্থক্য হল - এটির সম্মুখ ভাগ পশ্চিমমুখী।
এই মন্দিরটির বিশালত্ব, অন্যান্য সুন্দর নির্মান শৈলি ছাড়াও এর দেয়ালের কারুকার্য এবং প্রাচীনতম মন্দির গুলির একটি হওয়ায় এটি সারা বিশ্বে পরিচিত এবং পর্যটকদের আকর্ষণের কারন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এটি ইতালির পম্পেই কে হারিয়ে পৃথিবীর অষ্টম আশ্চর্য হিসাবে বিবেচিত হয়েছে।
ConversionConversion EmoticonEmoticon