ভুল স্টেশনে নেমে
সমীরন সরকার
( 47 তম পর্ব)
নন্দিনী বিস্ময়ে চিৎকার করে বলতে যাচ্ছিল, সাবাস পলাশদা !
কিন্তু ওর কথার মাঝখানেই তাড়াতাড়ি ওর মুখে হাত চাপা দিয়ে পলাশ ফিসফিস করে বলল, তোর কি মাথা খারাপ হয়েছে? এই রাত্রিবেলা এক্ষুনি তোর চিৎকার তো সবাই শুনতে পেয়ে ছুটে আসবে!
--------- sorry পলাশদা! আসলে একবার মাত্র দেখে ,তাও reverse system এ ,তুমি এতো নিখুঁত ভাবে unlock করলে কী করে?
--------- সেদিন তুই যখন গেটটা আনলক করছিলি, আমি খুব ভালোভাবে follow করেছিলাম তোকে। পরে পুরো ব্যাপারটা নিজের মনে বুঝতে চেষ্টা করেছিলাম ।আর যেটুকু বুঝেছিলাম সেটুকুই apply করলাম আজকে।
------ ইউ আর রিয়েলি ব্রিলিয়ান্ট পলাশদা! vul station a neme
কথা শেষ করেই নন্দিনী দু'হাতে পলাশের মাথাটা জোর করে নিজের দিকে টেনে নিয়ে এসে ওর গালে টপ করে একটা চুমু খেয়ে বলে, আই এম প্রাউড অফ ইউ! [পূর্ববর্তী পর্বগুলি পড়ুন ]
পলাশ বুঝতে পারল নন্দিনী একটু আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছে। তাই সে একটু চাপা গলায় ধমকের সুরে বলে, তুই কি আমাদের মিশন এর কথা ভুলে গেলি নাকি?
------- মোটেই না।
------- তাহলে তাড়াতাড়ি বাইরে যাই চল।
নন্দিনীর হাত ধরে জোর করে ওকে টেনে খোলা গেটের বাইরে নিয়ে যায় পলাশ। তারপর আগের মতই বেশ সহজে গেটটা বন্ধ করে চাবিটা ফেরত দেয় নন্দিনীকে। আকাশে শুক্লা দশমীর চাঁদ উঠেছে।গেটের বাইরেটা অন্ধকার ।একটা হালকা আলোর আভা এখানে সেখানে পড়ে আলো-আঁধারি সৃষ্টি করেছে।vul station a neme
ওরা কয়েক পা এগোতেই হঠাৎ একটা গাড়ি থমার শব্দ কানে আসে পলাশের। নন্দিনীর হাত ধরে পলাশ। তারপর ফিসফিস করে বলে , শুনতে পেলি,গাড়ির শব্দ মনে হল না?[পূর্ববর্তী পর্বগুলি পড়ুন ]
----- তাই তো মনে হচ্ছে। কিন্তু এত রাত্রে কে এলো?
------ আশ্রমের কোন ভক্ত নয় তো?vul station a neme
------ না না, এখন তো কোন উৎসব নেই যে বাইরে থেকে কোন ভক্ত আসবে! একটু এগিয়ে দেখব?
------ না, তার দরকার নেই। একটু কান খাড়া করে শব্দ শুনে বোঝার চেষ্টা কর কে বা কারা আসতে পারে।
-------- বেশ।
------- এরকম খোলা জায়গায় দাঁড়িয়ে না থেকে চল একটা গাছের আড়ালে যাই আমরা।
------তাই চলো।
পলাশ ও নন্দিনী কয়েক পা যেতে না যেতেই নন্দিনী হঠাৎ ফিসফিস করে বলে ,মেন গেট খোলার শব্দ পাচ্ছি ।এত রাতে সাধারণত মেন গেট খোলা হয় না। তবে কি সত্যিই কোন ভিআইপি এসেছে আজ? vul station a neme
দুজনেই এগিয়ে চলেছে সতর্ক পদক্ষেপে । কিছুটা এগিয়ে কাছাকাছি দুটো বড় গাছের আড়ালে দুজনে এমন ভাবে লুকোয় যাতে সেখান থেকে মন্দিরের পিছন দিকের গেট টা স্পষ্ট দেখা যায়।
বেশ কয়েক মিনিট কাটে। তারপর ওরা সবিস্ময়ে দেখে, একটু আগে যে গেটটা খুলে ওরা বেরিয়ে এসেছিল, সেই গেটটা ভেতর থেকে কেউ যেন খুলছে। একটু খেয়াল করতেই দেখে ভেতর থেকে জনা আটেক লোক বেরিয়ে আসছে। এত দূর থেকে ওদের মুখ দেখে চিনতে পারল না নন্দিনী ।তবে ওদের পোশাক দেখে বুঝতে পারল ,ওরা সবাই সিকিউরিটি গার্ডের লোক। বিস্ফারিত দৃষ্টিতে দেখে ওরা দেখে যে ,সিকিউরিটি গার্ডের লোকেরা হাত-পা-মুখ বাঁধা অবস্থায় চারটা মেয়েকে জোর জবরদস্তি ধরে নিয়ে আসছে এদিকে। পলাশ চটকরে নন্দিনীর কাছে সরে যায়। তারপর ফিসফিস করে কানে কানে বলে, আমার মনে হচ্ছে এই মেয়েগুলোকে পাচার করা হবে।vul station a neme
------ আমরা ওদের বাধা দিতে পারিনা?-[পূর্ববর্তী পর্বগুলি পড়ুন ]
-------- নারে নন্দিনী, আমরা অতজনের সঙ্গে লড়াই করে পেরে উঠব না। তাছাড়া এক্ষুনি আমাদের আইডেন্টিটি দিস্ক্লোজ হয়ে গেলে আমাদের উদ্দেশ্য সাধন হবে না! তুই কি আমাকে বলতে পারিস যে মন্দিরের সামনের গেট আর পিছনের গেট ছাড়া অন্য কোনভাবে মন্দির এলাকায় প্রবেশ করা যায় কিনা?vul station a neme
-------- সেরকম ভাবে ঢোকার গেট অন্য কোন দিকে নেই। তবে.....
--------- তবে কি?
------------ মন্দিরের দক্ষিণ দিকে যে বড় বড় বিল্ডিং গুলো আছে তার গা ঘেঁষে অনেকগুলো বড় বড় গাছ আছে সেগুলোর সাহায্যে যদি কোনভাবে ঢোকা যায় তো......
------- যদি নয়, ঢুকতেই হবে। আমাকে নিয়ে চল সেদিকে।
--------- বেশ, আমার পিছনে এসো।
(চলবে)
ConversionConversion EmoticonEmoticon