Bangla uponyas vul station a neme 45th episode

 
Bangla_uponyas_vul_station_a_neme_45th_episode

ভুল ষ্টেশনে নেমে

সমীরণ সরকার

                 (৪৫ তম পর্ব)


নন্দিনীর একটা হাত নিজের দুই হাতের মধ্যে নিয়ে পলাশ সান্ত্বনা দেওয়ার মতো করে বলে, উহুঁ,একদম কান্নাকাটি করবি না নন্দিনী। তুই জানিস না তোর মা এবং বিশু মামা কি অবস্থায় আছে, কোথায় আছে।  এখন কান্নাকাটি করে সময় নষ্ট করার মত সময় হাতে নেই রে। ভীষণ একটা লড়াই আমাদের সামনে।  সেই লড়াইয়ে জিততে হলে বুদ্ধি খাটিয়ে এগোতে হবে প্রতিমুহূর্তে। আর সেই লড়াইটা লড়তে হবে তোকে আর আমাকে। মনে রাখিস আমাদের প্রতিপক্ষ ভীষণ স্ট্রং! শুধু তাই নয় আমরা এখন শত্রু ব্যূহে  আছি। তাছাড়া আমি তো একেবারেই নতুন এখানে। কোথায় কি আছে কিছুই জানিনা। vul station a neme [পূর্বের পর্ব গুলি পড়ুন] 
---- বেশ আমাকে কি করতে হবে বলো ।
-----প্রথম কাজ কান্নাকাটি বন্ধ করে চোখ মুছে স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা কর। তা না হলে আমি যা বলব, তা তোর মাথায় ঢুকবে না।
         নন্দিনী বাঁ হাতের চেটো দিয়ে চোখ মুছে বলে ,আমি এখন একেবারে স্বাভাবিক। সবকিছু শোনার জন্য প্রস্তুত আছি
 ----সমস্যা একটা নয়, একাধিক।

----মানে?
----- সমস্যা নাম্বার ওয়ান হচ্ছে তোর মা এবং বিশু মামার খোঁজ করা।
 সমস্যা নাম্বার টু হচ্ছে 'হাওয়া মহল 'সম্পর্কে জানা। কেন একের পর এক লোককে বাইরে থেকে ধরে এনে 'হাওয়া মহল বন্দী করে রাখা হয় ?
সমস্যা নাম্বার তিন হল- ওই বন্দী লোকগুলোর মুক্তির ব্যবস্থা করা ।
সমস্যা নম্বর চার হল, তোর মামীমা কে স্বামী কৃষ্ণানন্দের কবল থেকে মুক্ত করা। অবশ্য সেখানেও একটা সমস্যা আছে। vul station a neme [পূর্বের পর্ব গুলি পড়ুন] 
--- কি সমস্যা?
---- তোর মামিমার উপরে যদি কোন মন্ত্র প্রয়োগ করা হয়ে থাকে আর তার ইফেক্টে তোর মামীমা যদি এখান থেকে যেতে রাজি না হয় তো...
----- এত সমস্যার সমাধান তুমি আর আমি কি করে করব?
------ পারবোনা, কারো সাহায্য নিতে হবে।
------ কে আমাদের সাহায্য করবে ?
-----সাহায্য করতে পারে এমন সোর্স দুটো আছে। এক-পুলিশের কাছে যাওয়া।আচ্ছা লোকাল থানা এখান থেকে কত দূর জানিস কি?
----- মহেশপুরে কোন থানা নেই ,এখানে একটা ছোট ফাঁড়ি আছে। থানা এখান থেকে প্রায়  সাত কিলোমিটার দূরে চন্দননগরে । vul station a neme [পূর্বের পর্ব গুলি পড়ুন] 
----সেক্ষেত্রে আমার একটা করণীয় আছে।
------ কি? 
----আমাকে এখান থেকে একবার বাইরে বেরোতে হবে ।
---সেটা তো অসম্ভব। বাইরে বের হলে তুমি ধরা পড়ে যাবে!
--- রাত্রিবেলায় বেরোবো। একটু ভালো করে চার ধার আমাকেদেখতে হবে। তা না হলে পরবর্তী পরিকল্পনা করা সম্ভব হবে না ।
-----কিন্তু কিভাবে?
--- তুই আমাকে নিয়ে যেদিন এখানে ঢুকলি, সেদিন মেন গেট খোলার সময় একটা  অদ্ভুত দেখতে চাবি ইউজ করেছিলি।
 -- কেন, অদ্ভুত কেন ?''''
----অদ্ভুতই তো। ঐরকম পেন্সিল ব্যাটারি সাইজের কোনো চাবি হতে পারে, আমি প্রথম দেখলাম ।
------আজ রাত্রে ওই চাবিটা তুই আমাকে দিবি,বাইরে যাব।
 ---আমি তোমাকে একা বাইরে যেতে দেবো না! যদি যেতে হয়,  তাহলে আমি সঙ্গে যাবো।
--- দুজন একসঙ্গে বেরোলে ধরা পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। তাছাড়া হঠাৎ যদি কোন কারণে তোর খোঁজ পড়ে তো প্রবলেম হবে।

(চলবে)

Previous
Next Post »

এই ব্লগটি সন্ধান করুন