bengali love story । bengali novel 29th episode vul station a neme

bengali_love_story_।_bengali_novel_29th_episode_vul_station_a_neme


ভুল স্টেশনে নেমে 

সমীরণ সরকার 

ধারাবাহিক উপন্যাস ২৯ তম কিস্তি


ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দ্যাখে পলাশ। একটা গাছের সামনে পাঁচ ছয় জন নারী-পুরুষ বৃত্তাকারে বসে আছে।গাছটার উচ্চতা ফুট চার-পাঁচের বেশী হবেনা। গাছটার পাতাগুলো দেখতে খুব অদ্ভুত। টুকটুকে লাল রংয়ের। পাতার ডগাগুলো ক্রমশ সরু হয়ে পাকানো স্প্রিংয়ের মতো ঝুলছে। অল্প অল্প দুলছে পাতাগুলো। গাছটার রং লাল বা সবুজ কোনটাই নয় ,কালো।না, ঠিক কালো নয়, জমাটবাধা রক্তের মত রং।কি গাছ ওটা?

যারা বৃত্তাকারে বসে আছে তাদের সবাই কি যেন বলছে একসাথে। পলাশ চেষ্টা করেও বুঝতে পারেনা। বৃত্তের মাঝখানে একটা প্রদীপ জ্বলছে। বেশ বড়সড় প্রদীপ। ধূপকাঠি পুড়ছে। । একটা বড় মাটির পাত্র থেকেও ধোঁয়া উড়ছে। সম্ভবত ধুনো জ্বলছে ওখানে।
 ওদের  দিকে তাকাতে তাকাতে হঠাৎ নন্দিনীকে দেখতে পায় পলাশ। একি!… নন্দিনী ওখানে কেন? কি করছে ও ওখানে?নন্দিনীর ঠিক ডান পাশে  বসে থাকা লম্বা লম্বা জট পাকানো চুলের ওই  পৃথুলা মহিলা কে? উনি মাঝে মাঝেই নন্দিনীর কানের গোড়ায় মুখ লাগিয়ে কি যেন বলছেন ।আর নন্দিনী খুব জোরে জোরে মাথা নেড়ে অনিচ্ছা প্রকাশ করছে। হঠাৎ নন্দিনী উঠে দাঁড়ায়। পৃথুলা মহিলা ওর হাত টেনে ধরে বসিয়ে দেয়। নন্দিনী হঠাৎ ওই  মহিলার হাত ছাড়িয়ে দৌড়াতে শুরু করে। ওই মহিলাও নন্দিনীর পিছু পিছু ছুটতে শুরু করে। পলাশ চিৎকার করে ওঠে, জোরে নন্দিনী, জোরে, আরো জোরে দৌড়া। নন্দিনী চিৎকার করছে, বাঁচাও পলাশদা ,বাঁচাও, আমাকে বাঁচাও।
ঘুমটা ভেঙে যায় পলাশের। ও দেখে, নন্দিনী উপুড় হয়ে ওর কানের কাছে মুখ এনে ওকে ডাকছে । নন্দিনীর শরীরের গন্ধ পায় পলাশ। মুহূর্তে পলাশের সারা শরীরে কেমন যেন আনচান করে ওঠে। ও দু'হাত দিয়ে নন্দিনীকে আঁকড়ে ধরে বলে, না, না নন্দিনী,আর কেউ তোকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারবে না। 
       পলাশ অকস্মাৎ ওভাবে নন্দিনীকে আঁকড়ে ধরায় ও তাল সামলাতে না পেরে পলাশের বুকের উপরে পড়ে যায়। অনেকদিন পরে প্রিয় পুরুষের শরীরের অন্তরঙ্গ সান্নিধ্যে এসে নন্দিনীর সারা শরীর বুভুক্ষ হয়ে ওঠে। ওর শরীরের সমস্ত শিরা, উপশিরা, প্রতিটি রোমকূপে শিহরণ জাগে। ও দুহাতে পলাশের মুখ ধরে পলাশের ঠোঁট টেনে নেয় নিজের দুই পুরুষ্ট ঠোঁটের ফাঁকে।

             দীর্ঘ খরার পড়ে হঠাৎ বৃষ্টি হলে ধরিত্রী যেমন তার সমস্ত শরীর দিয়ে টেনে নেয় বৃষ্টি কণা ,ঠিক তেমনি নন্দিনী তার দুই ঠোঁট দিয়ে দীর্ঘ চুম্বনে শুষে নিতে শুরু করে তার প্রিয় পুরুষের ভালবাসা। ঘটনার আকস্মিকতায় পলাশ প্রথমটায় একটু হকচকিয়ে গেলেও মুহূর্তেই তার শরীরও জেগে ওঠে। একটা হ্যাঁচকা টানে নন্দিনীকে  নিজের শরীরের উপর তুলে নেয় সে।আরো আরো জোরে সে দুই হাতে নন্দিনীকে যেন বুকের মধ্যে পিষে ফেলতে চায়।

(চলবে)

Previous
Next Post »

এই ব্লগটি সন্ধান করুন