প্রবন্ধ
এখন শুধুই ভাবি ফেলে আসা দিনগুলোর কথা
রতন বসাক
এই পৃথিবীতে দারিদ্রতার জন্য অনেকেই স্কুলজীবন পায়না । ভাগ্যবান কিছু মানুষই স্কুল জীবনটা ভোগ করতে পারে ।
এই পৃথিবীতে এসে আমরা প্রতিনিয়ত কিছু না কিছু শিখতে চাই । আর সেই শেখার জন্যই আমাদের স্কুল যেতে হয় ।
কিছুকাল আগেও সেটা ছিল ৫/৬ বছর বয়স হবার পরে । এখন দেখছি ২/৩ বছর বয়স হতে হতেই স্কুলে যাওয়া শুরু করে ।
যদিও সময়ের সাথে সাথেই সবকিছুই পরিবর্তন হয় । তাই একে মেনে নেওয়াটাই সঠিক ।
সাধারণত আমাদের প্রত্যেকের জীবনে এক একটা গণ্ডি পেরিয়ে যেতে হয় জীবন পথে চলার সময় । আর সবগুলো গণ্ডি
ঠিকমতো পার করতে পারলেই, তবে আমরা জীবনে সফল হই । শৈশবের গণ্ডি পার হতে হতেই আমাদের স্কুল জীবনের
গণ্ডিতে ঢুকে পড়তে হয় ।
জন্মের পর থেকেই আমরা ঘরে থাকি । তাই স্কুলে যেতে প্রথম প্রথম ভয়ে অনেকেই আমরা কেঁদে উঠি । যাই হোক কিছুদিন
স্কুলে যাবার পর ধীরে ধীরে সব ভয়টা কাটিয়ে নিই । এরপর কিছুদিন পরে তখন বেশ ভালোই লাগে স্কুলে যেতে । অনেক
বন্ধুদের মাঝে বেশ কয়েক ঘন্টা থাকা সত্যিই ভালো লাগে ।
নিয়মিত স্কুলে যাওয়ার ফলে আমরা অভ্যস্ত হয়ে যাই ধীরে ধীরে । তখন ঘরের থেকে স্কুলেই যেন বেশি ভালো লাগে সময়
কাটাতে । গ্রীষ্মের ছুটি ও পুজোর ছুটির সময় মনে হয়, কবে যে শেষ হবে এই ছুটি ? লেখাপড়ার চাপ থাকলেও চেষ্টা করে
আমরা সেই চাপটা অনেকটাই কমিয়ে নিতে পারি । ভালোও লাগে আবার উদ্বিগ্নও লাগে যেদিন পরীক্ষার রেজাল্টটা বের হয় !
পরীক্ষাতো ভালোই দিয়েছি, কি জানি কি হয় রেজাল্ট ? হাতে যখন পাশের রেজাল্টটা পাই, তখন সত্যিই আনন্দের সীমা থাকেনা ।
লেখাপড়া ছাড়াও টিফিন পিরিয়ডে বন্ধুদের সঙ্গে মনের কথা বলা ও একসাথে টিফিন খাওয়া সত্যিই ভালো লাগত । সবাই না হলেও
কেউ কেউ একদম প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠত । অ্যানুয়াল স্পোর্টস এর দিন অংশগ্রহণ করতে খুব মজা লাগত । আর আনন্দ হতো উৎসবগুলো
যখন মানানো হতো যেমন - সরস্বতী পূজা, স্বাধীনতা দিবস, প্রাইজ ডিস্ট্রিবিউশন সেরিমনি ইত্যাদি ।
আজ শেষ বয়সে সাংসারিক হয়ে বিভিন্ন দায়িত্ব-কর্তব্যের মধ্যে ফেঁসে গিয়ে মাঝে মাঝে ভাবি ; যে স্কুলের সেইসব দিনগুলি কত
ভালো ও আনন্দের ছিল । লেখাপড়ার সামান্য মাত্র চাপটা থাকলেও, খোলা আকাশে পাখির মতো উড়ে বেড়াতাম মন খুলে ।
বন্ধুদের সাথে আজ আর সেই আনন্দ ও মজা আর খুঁজে পাইনা .....
ConversionConversion EmoticonEmoticon